১৭ বছর আগে ২০০৪ সালের এই দিনে ইতিহাসের নৃশংস হত্যাযজ্ঞ সংগঠিত হয়েছিল।হত্যা ও সন্ত্রাসের রাজনীতি নির্মূল করে জননেত্রী শেখ নেতৃত্বে জাতির পিতার স্বপ্ন সোনার বাংলা গঠনে দৃড় প্রত্যয় নেওয়ার আহবান।
আজ ২১ আগস্ট রোজ শনিবার নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটস এর খাবার বাড়ি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে ’গ্রেনেড হামলা দিবস’ হিসাবে পালন করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের সহসভাপতি সৈয়দ বসারত আলী সভাপতিত্বে এবং যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি দুরুদ মিয়া রনেলের পরিচালনায় আলোচনা সভায় শুরুতে কোরআন তেলাওত ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়।হিন্দু ধর্মের পুরহিত গীতা পাঠ করে প্রার্থনা করেন। সকল শহীদের প্রতি সম্মান জানিয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী ও ভাতৃপ্রতীম সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে গ্রেনেড হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
দিনের স্মরণে আলোচনা সভায় বক্তব্য রখেন আবুল মনসুর খান,কাজী কয়েছ আহমদ ,শরাফ সরকার্ ,ফরিদ আলম,ডাঃ বাতেন , নিউইয়র্ক স্টেইট আওয়ামী লীগের শাহিন আজমল, মেহরাজ ফাহমী, রাজিব খান, আব্দুল ওয়াদুদ,মহিলা আওয়ামীলীগের খাইরুন নাহার চৌধুরী, নার্গিছ আহমদ বিউটি এবং জেসমিন বুখারী , সাবেক ছাত্রনেতা ও বর্তমান আওয়ামীলীগ নেতা সোহান আহমদ টুটুল,শেখ মখলু মিঞা , ফারুক লস্কর মোঃ নুরুদ্দিন, যুক্তরাষ্ট্র সেচ্ছাসেবকলীগের আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুজ্জামান সরদার ,এইচ ইকবাল, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী যুবলীগের যুগ্মআহবায়ক জামাল হোসেন ,ইফজাল হোসেন মাযহারুল এহসান মুরাদ,এডভোকেট এম আই শেখ,আশরাফ হুসেন টিটু ,লিটন জাকারিয়া,রাজু আহমদ প্রমুখ ।
বক্তারা আলোচনা সভায় বক্তব্যে বলেন ২০০৪ সালের এই দিনে . কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা জননেত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে অতর্কিতে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। ২১ আগস্টের রক্তাক্ত হামলার ঘটনায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন ১৬ জন। পরে সব মিলিয়ে মারা যান আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন। আহত হন শেখ হাসিনাসহ পাঁচ শতাধিক নেতা। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের মধ্য দিয়ে যে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল, ২১ আগস্টের ঘটনা তারই ধারাবাহিকতা।আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে সংগঠনের সভাপতি শেখ হাসিনাসহ দলের প্রথম সারির নেতাদের হত্যার উদ্দেশ্যেই ওই ঘৃণ্য হামলা চালায় ঘাতক চক্র। সেই ষড়যন্ত্র এখনো চলছে। এই হত্যার ধারাবাহিক ষড়যন্ত্র বন্ধে ১৫ ও ২১ আগস্টের ঘটনার নেপথ্যের কারিগর খুঁজে বের করতে কমিশন গঠনেরও দাবি জানান তারা।দিনের আবহাওয়া অপ্রতিকূল হওয়া সত্ত্বেও শোক ও স্মরণ সভাকে সফল করে তোলার জন্য উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানানো হয়।
Leave a Reply