আসাদ উদ্দিন ::
বিগত ঈদুল ফিতরের আগ পর্যন্ত সিলেটসহ সারাদেশে করোনা সংক্রমণ সহনীয় পর্যায়ে ছিল। লকডাউন থাকা সত্বেও তখন হাজার হাজার মানুষ যে যেভাবে পারে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার কারণে যে ক্ষতি হয়েছে তার ফল এখন ভোগ করছে পুরো দেশবাসী।
এরই মধ্যে আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা আমাদের আরো ভাবিয়ে তুলেছে। একদিকে মানুষের বাড়ি যাওয়া, অন্যদিকে কোরবানির পশুর হাটে মানুষের ভীড়ে করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ রুপ নিলে পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। এনিয়ে সিলেটবাসী উদ্বীগ্ন।
অতীতে সিলেটে যত্রতত্র কোরবানির পশুর হাট বসানো হলেও এই অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে কার্যত কোন পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যায়নি। তবে এবার মহামারীর মধ্যে এমন অব্যবস্থাপনা হলে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি কোনভাবেই ঠেকানো যাবে না, বিষয়টি শঙ্কার। তাই এবছর পশুর হাট নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে গুরুত্বসহকারে ভাবতে হবে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশুর হাট বসানোর কথা বলা হলেও বাস্তবে কতটুকু নিশ্চিত হবে তা বলা কঠিন। এর মধ্যে আবার যদি যত্রতত্র পশুর হাট বসে তাহলে কিছুই নিয়ন্ত্রণে থাকবে না।
স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে সিলেটে করোনার সংক্রমণের হার এবং মৃত্যুর সংখ্যা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে কয়েকগুণ বেশী। তাই এবার পশুর হাটের অনুমোদন চিন্তাভাবনা এবং প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে দিতে হবে। তা না হলে গত দুই সপ্তাহের লকডাউনের যে সুফল সেটি হাটের মধ্য দিয়েই শেষ হয়ে যাবে।
পরিশেষে সবাইকে নিজের জীবন এবং পরিবারের কথা চিন্তা করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশু কেনা এবং ঈদ উদযাপনের অনুরোধ জানাচ্ছি।
সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগ।
Leave a Reply