নিউইয়র্কে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকী ও বাংলাদেশের জাতীয় শোক দিবস। এ উপলক্ষে গত ১৫ ই আগস্ট আলোচনা, তবারক বিতরণ, মসজিদে বিশেষ দোয়া, মন্দিরে ও চার্চে প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।
জ্যাকসন হাইটস ইসলামিক সেন্টার মসজিদে বাদ জোহর কোরআন তেলাওয়াত, দোয়া-মোনাজাত শেষে তবারক বিতরণ করা হয়।সেখানে উপস্থিত ছিলেন কাজী কয়েছ আহমদ, শরাফ সরকার, আবুল মুনসুর খান, ফরিদ আলম প্রমুখ।
এদিন বিকেলে জ্যাকসন হাইটসের ড্রাইভারসিটি প্লাজায় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি সৈয়দ বশারত আলীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। বাংলাদেশ ও আমেরিকার জাতীয় সংগীত পরিবেশণ করা হয়। সকল শহীদের সম্মানে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এই অংশ পরিচালনা করেন কাজী কয়েছ আহমদ।মন্দিরে প্রার্থনায় অংশ গ্রহণ করেন রণজিৎ সাহা, গোবিন্দ দাস, গোবিন্দ বাণিয়া, বিধান পাল, অশোক সাহা প্রমুখ। গির্জায় আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা ডা. টমাস দুলু রায়ের উদ্যোগে প্রার্থনা করা হয়।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা ডা. মাসুদুল হাসান, ডা. টমাস দুলু রায়, তোফায়েল চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগ নেতা আইরিন পারভিন, আবুল মনসুর খান, মহিউদ্দিন দেওয়ান, আব্দুর রহিম বাদশা,কাজী কয়েছ আহমদ, ডা. আব্দুল বাতেন, ফরিদ আলম, হিন্দাল কাদির বাপ্পা, সরাফ সরকার, গোলাম রব্বানী চৌধুরী, ইলিয়ার রহমান, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের শেখ মখলু মিয়া, নিউইয়র্ক স্টেট আওয়ামীলীগের শাহীন আজমল, এম এ.ওয়াদুদ, মেহরাজ ফাহমী, রাজীব খান,সৈয়দ মুকুল হক,নিউজার্সি স্টেট আওয়ামীলীগের টিপু সুলতান, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের নুরুজ্জামান সরদার, দুরুদ মিয়া রনেল, জাফর আহমেদ, এইচ এম ইকবাল, নাফিকুর রহমান তুরান,আওয়ামী যুবলীগের শেখ জামাল হোসেন, ইফজাল হোসেন, শুয়েব আহমদ, নুরুল আলম, মিজানুর চৌধুরী,সাবেক ছাত্রনেতা নুরুউদ্দিন, সোহান আহমদ টুটুল, তফাজ্জল হোসেন, জাসদের সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম জিকু প্রমুখ। পরবর্তী বক্তৃতা পর্ব পরিচালনা করেন ফরিদ আলম, সরাফ সরকার ও দুরুদ মিয়া রনেল।
বক্তারা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে আত্মীয়স্বজনসহ ১৮ জনকে হত্যা করে। ইতিহাসে এই দিনকে কালো দিন হিসাবে চিহ্নিত করে জাতীয় শোক দিবস হিসাবে পালন করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এদেশের রাজনীতিতে জনসাধারণের প্রতিনিধিত্ব প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন। স্বাধীনতার সুফল যখন বাংলার জনগণের নিকট পৌঁছে দিচ্ছিলেন তখনই দেশী-বিদেশী চক্র সম্মিলিতভাবে গভীর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধুর সপরিবারে নির্মম-বর্বরোচিত হত্যাকান্ডে দেশবাসী হতবিহবল ও কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছিল।
অনুষ্ঠানে দলের বিরুদ্ধে যেকোন ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানানো হয়।
Leave a Reply