সম্প্রতি কুমিল্লার একটি পূজামণ্ডপে হনুমানের প্রতিমার কোলে কোরআন রাখাকে কেন্দ্র করে কুমিল্লা, খুলনা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম, কিশোরগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, ফেনী ও সিলেটের বিভিন্ন পূজামণ্ডপ ও মন্দিরে হামলা ভাঙচুর হয়েছে।হিন্দুদের দোকানপাটে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট চালান। বিভিন্ন মন্দির, আশ্রম ও বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে এমনকি।হামলার সময় বিভিন্ন স্থানে জঘন্য হত্যকান্ডও ঘটে।
হিন্দুদের পূজার নিরাপত্তা বিধান সব বাঙালির জন্য, বিশেষ করে মুসলমানের জন্য ! মুসলমানের ধর্মীয় বিধানে ,নবীদের জীবনী বা খেলাফতের রাজত্বে তারই উল্লেখ রয়েছে। দুঃখজনক সত্য হচ্ছে দেশের সংখ্যালঘু ধর্মবিশ্বাসীদের জীবন ও সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিতে একজন বাঙ্গালী বা মুসলমান হিসাবে ভূমিকা বা দায়িত্ব পালন করতে পারি নাই।
ব্রিটিশ-বিরোধী আন্দোলনে, মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি মুসলমান-হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান একত্রে লড়েছে। ’৭২-এর সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা রাষ্ট্রপরিচালনার মূলনীতি হিসেবে গৃহীত হয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে তাদের অধিকার ভোগে কার্যকর সুরক্ষা দিতে জাতী হিসাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছি। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর আঘাত আসছে তার কারণও আমাদের কাছে এখন আর অজ্ঞাত নয়। ১৯৭৫ সালের পর থেকে এ দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার প্রচেষ্টা চলছে।
ঘটনাগুলি ঘটেছে সেটা যে উদ্দেশ্যমুলক এবং ইচ্ছাকৃত ঘটানো হয়েছে তা নিশ্চয়ই প্রমাণের অপেক্ষা রাখে না। শুধু রাজনৈতিক জল শুধু ঘোলা করার জন্য সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে দুর্বলের ওপর সবলের আক্রমণ করা হচ্ছে । ব্যক্তি-আক্রমণ, কুৎসা রটনা এবং মিথ্যা সংবাদ সাজিয়ে মানুষকে উসকে দেওয়ার ক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যে বাংলাদেশে ভয়ংকর নজির স্থাপন করেছে ।।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে দেশের ভেতর শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য অপরাধী যে ধর্মেরই হোক না কেন তাকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির উদাহরণ সৃষ্টি করতে হবে । তা না হলে রক্তপিপাসু রাজনৈতিক অপশক্তি তাদের রক্তাকাঙ্ক্ষা যেকোনো উপায়ে বজায় রাখবে বলেই মনে করি।আমরা হীন কর্মকাণ্ডের জন্য ঘৃণা ও নিন্দা জানাই। দোষী ব্যক্তিদের অবিলম্বে বিচারের কাঠগড়ায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।
Leave a Reply